Ticker

6/recent/ticker-posts

BRAMHASTRA


 প্রসঙ্গ ব্রহ্মাস্ত্র 

পুরোটাই মার্কেটিং নির্ভর একটি ছবি। গল্প বলার ধরণ অত্যন্ত খারাপ এবং গল্পের মূল ঘটনা এতটাই সংক্ষিপ্ত যে তিনটে গান ও টিপিকাল বলিউডি রোম্যান্স দিয়ে টানতে হয়েছে, প্রথম আধ ঘন্টা নায়কের নাচ আর নায়িকাকে পটানোর বোকা বোকা চেষ্টাতেই কেটে গেলো । কেশরিয়া গানটা এত বাজে সময় দেওয়া হয়েছে যে কিছু বলার নেই, এই অংশে ভালো মিউজিক এর সাথে ফ্ল্যাশব্যাকের কিছু ঘটনা দেখালে গল্পে গভীরতা আসতে পারতো। 

ছবির অ্যাকশন কোনো ভাবেই উত্তেজনা জাগায় না। অ্যাকশনে রণবীর কাপুরকে আলুভাতেই লেগেছে। গল্পের নায়ক সুপার পাওয়ারের অধিকারী কিন্তু এতদিন পর্যন্ত সে সেটা জানতেই পারেনি আর জানার পরেও হিরো তার উদ্দেশ্য ভুলে সারাদিন গার্লফ্রেন্ডের চিন্তায় ডুবে থাকে। ভিলেনের চরিত্রকে স্ক্রিনে সময়ই দেওয়া হয়নি তবুও নায়কের থেকে অনেক বেশী সাবলীল অভিনয়।  নায়িকার সেরকম কোনো ভূমিকাই নেই' শিবাআআআ.. শিবাআআআ বলে ডাকা ছাড়া।

শাহরুখের ক্যামিও চরিত্রটিকে গরীবের Tony stark বানানোর চেষ্টা ছাড়া কিছুই মনে হয় নি। নাগার্জুনের চরিত্রটির কোনো গুরুত্বই দেখায় নি। অমিতাভ বচ্চনকে স্ক্রিনে দেখার পর একটু ভরসা জাগে। 

গল্পের ডায়লগ - প্রথমবার শিবাকে দেখার পর ঈশা জিজ্ঞাসা করে 'কন হো তুম?' 

শিবা - 'ক্যায়া হো তুম!!

গুরুকে দেখার পর নায়কের ডায়লগ- 'গুরুকে সুনকে ম্যায় সোচা কই দাড়িওয়ালা বাবা হোগা..

এছাড়াও নায়কের বলা বিখ্যাত ডায়লগ 

'Isha is my button' 

'Light wo roshni ka naam hai jo hamare sabke andhero se bari hai'..

ইত্যাদি ইত্যাদি ..

ছবির শেষ কোনোরকম আগ্রহ, আবেগ, উত্তেজনা  সৃষ্টি করতে ব্যর্থ। 

ছবির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় vfx অবশ্যই বলিউডের মানের vfx এর চেয়ে ভালো কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই laser show এর মতো লেগেছে ..realism  এর অভাব।

তিনটে জিনিস বলিউড তার নিজস্বতা বজায় রেখেছে গরীব নায়ক, বড়লোক নায়িকা এবং কপালে লাল তিলক পড়া ভিলেন।

ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি বলতে প্রথমে একটা  ভূমিকা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু সেটি মনে দাগ কাটে না। হিন্দু শাস্ত্রে লেখা  অস্ত্রের নাম গুলোও পাল্টে দেওয়া হয়েছে। Aquaman এর মতো একটি মূর্তিকে ব্রহ্মাদেব বলে দেখানো হয়েছে। এটা কখনোই না যে সব কিছু হিন্দু পুরাণ এর অনুসারে হবে কিন্তু প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি নিয়ে বলিউডের যা জ্ঞান তাতে কোনো হিন্দু পুরাণাদি এর reference নেওয়া উচিত ছিলো।

সব মিলিয়ে খিচুড়ি হিসেবে ভালোই তবে ভোগের খিচুড়ির মতো স্বাদ নেই।


Rating 3/10



Post a Comment

0 Comments